ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নাকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম।
র্যালিতে অংশ নেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। র্যালি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অংশগ্রহণকারীরা হাতে নানা ধরনের ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যেখানে টেকসই পর্যটন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতামূলক বার্তা প্রদর্শিত হয়।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ভাইস চ্যান্সেলর পর্যটনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, পর্যটন খাত একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংস্কৃতি বিনিময় ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের ভ্রমণপ্রিয়তা, সংস্কৃতি চর্চা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে দেশে এখনো প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা যদি প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করে, তবে এ খাতের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হবে। পর্যটনকে কেবল একটি খাত হিসেবে নয়, বরং একটি প্রফেশনাল ক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করাই এখন সময়ের দাবি।
তিনি মনে করেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি গবেষণা ও শিক্ষার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের প্রতি মনোযোগী হয়, তবে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ তৈরি হবে।
আয়োজকরা জানান, দিবস উপলক্ষ্যে রচনা, বৃক্ষরোপণ প্রতিযোগীতাসহ একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ ও হসপিটালিটি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আগ্রহী করে তুলবে এবং তাদেরকে ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে অনুপ্রাণিত করবে।